১) রাজনৈতিক সহিংসতা থেকে স্থায়ীভাবে মুক্তি পাওয়া এবং বাংলাদেশকে একটি পরিপূর্ণ গণতান্ত্রিক দেশে রূপান্তর করা।
২) রাজনৈতিক দলের নিজ নিজ সদস্যের প্রাথমিক ভোটের মাধ্যমে প্রার্থীদের নির্বাচন।
৩) সংসদ সদস্যকে তার দলের বাইরে ভোটের অধিকার প্রদান।
৪) সরাসরি জনগণের ভোটে দেশের প্রধানকে নির্বাচিত করা।
৫) সকল রাজনৈতিক দলকে সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করে সকল মিডিয়ার সাহায্যে জনগণের মতামত সাপেক্ষে হরতাল করা।
৬) প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া।
৭) সংসদীয় গণতন্ত্রের সুস্থ বিকাশ ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান, জনগণের পছন্দমতো ভোটাধিকার প্রয়োগের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ।
৮) একটি গণমুখী, স্বচ্ছ, জবাবদিহিতামূলক দক্ষ জন প্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং সুশাসন নিশ্চিত করা।
৯) তৃণমূল পর্যন্ত রাষ্ট্র পরিচালনার সকল স্তরে জনগণের অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে শক্তিশালী স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
১০) নর-নারী, ধর্ম-বর্ণ, সম্প্রদায়, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা নির্বিশেষে মৌলিক মানবাধিকারের নিশ্চয়তা বিধান এবং তাদের উন্নত জীবন বিকাশের পূর্ণ সুযোগ প্রদান।
১১) ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ এবং সকল প্রকার সাম্প্রদায়িকতার বিলোপ সাধন।
১২) আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠন।
১৩) নারী নির্যাতন বন্ধ, নারীর অধিকার ও মর্যাদা সংরক্ষণ এবং রাষ্ট্র ও সমাজ জীবনের সকল ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণের সুযোগ সুনিশ্চিতকরণ।
১৪) শিশুর অধিকার সংরক্ষণ, তাদের দৈহিক ও মানসিক বিকাশের সুযোগের নিশ্চয়তা বিধান এবং যুব সমাজের উন্নয়ন নিশ্চিত করা।
১৫) সংবাদপত্রসহ সকল গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করা।
১৬) জাতীয় স্বার্থে প্রাকৃতিক সম্পদের যুক্তিসংগত ব্যবহার নিশ্চিত করা, দীর্ঘমেয়াদী জ্বালানি নিরাপত্তার ব্যবস্থা গড়ে তোলা, বিদ্যুতায়ন, যোগাযোগ, আইটি খাতসহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন।
১৭) মানবসম্পদ উন্নয়ন, শিক্ষার প্রসার ও মানোন্নয়নে বিশেষ অগ্রাধিকার প্রদান। সার্বজনীন, সুলভ ও প্রগতিশীল শিক্ষানীতি প্রবর্তন ও বাস্তবায়ন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়ন।
১৮) বাঙালি জাতির সভ্যতা, কৃষ্টি, ভাষা এবং শিল্প সাহিত্যের বিকাশ নিশ্চিত করা। আদিবাসী, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও উপজাতীয় জনগণের জীবনধারা, ভাষা-সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও বিকাশের সুযোগ নিশ্চিত করা।
১৯) শ্রমজীবী, সমাজের দুর্বল, অনগ্রসর ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে মানবেতর জীবন থেকে উত্তরণে সার্বিক সহায়তা প্রদান।
২০) বিশ্ব উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান বিপদ মোকাবিলায় কার্যকর বৈশ্বিক উদ্যোগ গ্রহণ করা। পানি সম্পদের যথাযথ ব্যবহার, বন সংরক্ষণ, সামাজিক বনায়ন সম্প্রসারণ, প্রাণী বৈচিত্র্য রক্ষা এবং গ্রিনহাউজ এফেক্ট রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা ।
২১) শিশুর অধিকার সংরক্ষণ, তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের সুযোগের নিশ্চয়তা বিধান এবং যুব সমাজের উন্নয়ন নিশ্চিত করা।
২২) সংবাদপত্রসহ সকল গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করা।
২৩) অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থানসহ মৌলিক জীবনধারণের সমস্যার সমাধান এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করা।
২৪) অর্থনৈতিক অনগ্রসরতার অবসান, দারিদ্র বিমোচন, অধিকতর কর্মসংস্থান, বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, এক পাক্ষিক বৈদেশিক নির্ভরশীলতা কাটানো, ব্যক্তিখাত এবং রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিখাতের যৌথ উদ্যোগে (পিপিপি) উৎপাদনমুখী বিনিয়োগ উৎসাহিত করা। একটি শিল্প সমৃদ্ধ জাতীয় অর্থনীতির ভিত্তি রচনা করা ৷
২৫) সর্বাঙ্গীণ গ্রামীন-উন্নয়ন, ভূমি ও কৃষি ব্যবস্থার আমুল সংস্কার, কৃষিতে বিশ্বায়নের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলা, আধুনিকায়ন, কৃষিতে টেকসই প্রযুক্তির ব্যবস্থা এবং সমবায় ব্যবস্থা বহুমুখীকরন ও ফলপ্রসু করা।
২৬) খাদ্যে আত্মনির্ভরশীলতা বজায় রাখা, জনগণের খাদ্যের অধিকার নিশ্চিত করা এবং কৃষি পণ্যের লাভজনক দামের নিশ্চয়তা বিধান।
২৭) জাতীয় স্বার্থে প্রাকৃতিক সম্পদের যুদ্ধিসংগত ব্যবহার নিশ্চিত করা, দীর্ঘ মেয়াদী